Friday, December 14, 2018

প্রতীক্ষা শেষ হয়নি (Pratiksha Sesh hoi ni... Poem)

Poem, love, bengali kabita

তুমি যাবে কি আমার সাথে...

যেখানে আকাশ নীল, তৎপর সাগর,
রৌদ্রস্নাত মেঘ,
ভাসমান নিজ স্বপনে..
যেখানে সরল সুবাস, হিল্লোলিত কানন,
আকন্ঠ সতেজ,
লালায়িত নিজ গঠনে।

আনন্দের ফাটক খোলা দেখ,
হাতের পরশ হয়নি এখনও ম্লান,
হয়নিতো কিছুই শুরু, তোমারিতো সময় নেই,
এবার তুমি যাবে কি আমার সাথে...

যেখানে বাঁধনে জড়ায় না কেউ,
অপরুপ প্রকৃতির ঢেউ,
যেখানে অসীম প্রেম, মাদল তোলে,
বহুরঙ্গ করতালি,
বিয়পে বহু নীরব কল্লোলে।
অসমতল রঙ্গিন প্রাকারে, আমি আছি,
তোমার অপেক্ষায়।।




Monday, December 10, 2018

সন্ধিক্ষণের নিশ্বাস ( Sandikhoner nissas-poem)


এক মুষ্টি বদ্ধ স্বপ্ন,
তার সাথে এমনই বড় হয়ে ওঠা,
বধির সুখের আওতা ছেরে, 
অসুরের ডাকে ছুটি আপ্রান, 
বাহিরে এই রন প্রাঙ্গণে।

Poem, old days, past, memory


স্বপ্ন বড়ই রঙ্গিন,
পেছন ফিরলে সিঁড়ির পাহাড়,
আজ তথাপিও বড় ক্লান্ত,
আরও চাই, চেয়েই যাই,
চাহিদার কোথায় আছে শেষ,
আজও তা জানা নাই।

একমাত্র নবজন্মা শিশুটিই বড় শান্ত,
বাকিরা আসরে নিযুক্ত সবাই নাটকে ব্যাস্ত,
সবাই বড়ই উন্মাদ, বড়ই অশান্ত,
ঈচ্ছেপূরনের যেন আদি অন্ত নেই,
ঊর্ধশ্বাসে হাজার রোগ বিন্যাসে,
ছুটে চলেছি পারাপার।


অনন্তের টান (Ononter Tan- poem)

Poem, recitation, new born

নবজাতিকার কান্নায় প্রস্ফুটিত ধরাধাম,
মনপর্দায় ভেসেওঠে কতকিছু...
আমিও তো ছিলাম ঠিক এমনি
এমনি নিষ্কলুষ শিশু

সদ্যোজাতের কান্নায় ভাসে,
ছড়িয়ে পরে আকাশে বাতাসে,
তার নতুন অস্তিত্তের বানী,
ত্রিলোক ছাড়িয়ে যায়, কিবা বলতে চায়,
ছোট্ট শিশুর নবকল্লোল

আদর ভরা চাউনি, দুপাটি চোখের পরশ,
দুহাতের কোমল মলাট,
পরিচিতের আনন্দের শব্দরস...

কি আর চায়... এতেই,
প্রান ভরে যায়,
শিশুর মুখে ভেসে ওঠে, আনন্দের জয়গান। 

"এতটুকুই মোর চাহিদা..."
কি সৌভাগ্য ! কিছুই আর সে চায়না
এই পৃথিবীর ময়দানে,
নিজেকে সুন্দর বলছে সে...
খিলখিলিয়ে হাসছে সে...
চোখে উঠেছে ভেসে তার,
অনির্বাণ জ্যোতি
মধ্যগগনে বিস্তারিত...

অনাদি, অনন্ত... দ্যুতি

Sunday, December 9, 2018

খরগোশের ডাইরি (Khargosher dairy) # the end

Rabbit, story, tail

দিন চলতে থাকে তার নিজের গতিতে। হঠাৎ একদিন চোখ যায় ঘরের এক কোনে। নেটের চেহারা পাল্টেছে। আমার চোখ রংগিন হয়ে ওঠে। 
এই রঙ আমার চেনা, অনেক বার হয়েছে, খাঁচার নেট পাল্টানোও হয়েছে। দিন কতক থাকলেই এই রঙ নেট ফুটো করে ফেলে। আর এদিক ওদিক না ভেবে, পা দিয়ে সমানে আঘাত করতে থাকি আমি সেই স্থানে। ঝন্‌ ঝ্‌ন করে ওঠে আমার ঘর। আরও, আরও, আরও কয়েকবার আঘাত করতেই নেট ছিড়ে যায়। আমার সারা শরীর শিহরিত, বুঝতে পারছিনা কি করব। কোনদিন একলা বাইরে যাইনি, বাবলু সবসময় সাথে থাকে, কোথায় যাব, কোনদিকে যাব সব ঠিক করে দেয় বাবলুই। আমার প্রতিবেশিরাও বাইরে, আশেপাশে কেউই নজরে পরছে না। সামনের নেট ফুটো হয়ে গেছে, বের হলেই বাইরেটা একাএক আমার হয়ে যাবে। যা সবসময় চেয়ে এসেছি আমি, স্বপ্ন দেখেছি স্বাধীন হব, আজ সেই রাস্তা এক্কেবারে খোলা। আমাকে থামাবার কেউই নেই। আর ভাবতে পারছি না... একলাফে আমি বেড়িয়ে আসি বাইরে। 
রোজ বিকেলে বের হই কিন্তু এ মুহুর্তে বাতাসের গন্ধ যেন অন্যরকম। মনে হয় যেন প্রকৃতির স্বাধীন সংসারটা আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। এগিয়ে যেতে বারবার উৎসাহ দিচ্ছে। আর সেই ডাকে আমিও এগিয়ে চলেছি ধীরে ধীরে। আবিস্কার করে চলেছি অদেখা নতুন ধরাকে। বাবলুই কোলে করে সেই যে রোজ বিকেলে একই সবুজ দেশে আমি যেতাম, সেই পথ আমি চিনিনা।  কোন দিকে সেটা আমার মনে নেই। সেই দিকে আমি যাবই বা কেন। ছুটে চলেছি এক অজানা দিশায়, অজানা রাজ্যের দিকে। কত প্রাণী, অনেকে বড়, অল্প বড় বা আমার থেকেও ছোট, কেউ আমাকে দেখছে কেউবা দেখছে না। আমি শুধুই ছুটে চলেছি অক্লান্তভাবে। রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্বাধীনতার গন্ধে সতেজ হয়ে উঠেছে তনু মন। দিকবিদিকশুন্য আপনগতিতে ছুটে চললাম আমি রাস্তা যেখানে নিয়ে যায় আমায়। 
হয়ত অনেক দূর, কোন খোলাপ্রান্তরে, যেখানে আশেপাশে এলোমেলো মাটি, লম্বা লম্বা ঘাসের মেলা, ঝোপঝার। কোথায় এসে পরেছি জানিনা, তবে খুব ভাল লাগছে। অনেকদিন পর প্রথম বাধনহীন আমি। দৌরে ক্লান্ত কিন্তু আনন্দও অফুরন্ত। এদিক সেদিক দৌরে চলেছি আবার।এখানটা একটু অন্যরকম, অনেকেই আমায় দেখছে কিন্তু তবু মনে হল কেউ ছুটছে আমার সাথে, কেউ আছে আমার পাশে, আমার পেছনে। ঝোপঝার নড়ে ওঠে, আমি বুঝতে পারিনা হচ্ছেটা কি। একি সেই বেড়ালটা নাকি... এতদুর পিছু পিছু এসেছে। ভাবতে না ভাবতেই ঝোপ পেরিয়ে বের হবে মনে হল সেটি, আমি আড়ষ্ট হয়ে গেলাম, কি করব বুঝতে পারছিনা, পালানোর রাস্তা বলার কেউই নেই, বাবলু নেই। একা এক আমাকে অপ্রস্তুত করে ঝোপ পেরিয়ে লাফ দিয়ে বেড়িয়ে এল দুটি... আমারি মত দেখতে... । আরে... এদেরকে তো অনেকবার দেখেছি, স্বপ্নে যাদের সাথে একজোট হবার কল্পনা করেছি বহুবার, আমারি তো জাতিভাই। তবে একি হল, ওরা বের হয়ে আমার দিকে শুধুই দেখল, তারপর যে যার নিজের কাজে মশগুল। আমি ছুটে গেলাম ওদের কাছে, পাত্তাই দেয় না। হয়ত ওরা বেশ শক্ত সামর্থ, তুলনায় আমি রোগা... তাই হয়ত চিনতে পারছে না। কিন্তু না, ব্যাপারটা তা নয়, পরিচয়বিহীন আমি আর ওরা জঙ্গলের অধিবাসি।বুঝলাম তখনি, যখন বারবার হেনস্থা হল আমার, একসাথে চলতে, ভাগ করে খেতে। 
দিন গড়িয়ে এল। আমি আমার স্বজাতিদের সাথেই আছি, তবে মতানৈক্য এখনও প্রবল। আমি ভেবে চলেছি কিভাবে উদ্ধার পাব, আবার মনে হল ঝোপের আড়ে কি যেন আছে। মনে হল যেন আরও সাথী এল বলে। আমার বাকি দুইয়েরও একি দশা, লম্বাকান এক্কেবারে খারা। আমাকে আশ্চর্য করে মুহুর্তে যে যার দিকে ছুটে পালাল, আমি পুরোপুরি নিশ্চল, কাঠের পুতুলের মত দেরিয়ে রইলাম। পেছন দিয়ে ডাক শুনতে পেলাম..."পালা..."। এবার মনে হল সত্যিই বিপদ, আমাকে পালাতে হবে... এক্ষুনি। বলতে না বলতেই ঝোপের মধ্যে থেকে সেই চেনা বড় ক্রুর মুখটি বেড়িয়ে এল। আমি কেঁপে উঠি, প্রকাণ্ড বুনোবেড়ালটি মুহুর্তে আমাকে লক্ষ করে ঝাপ দেয়। আমি স্বভাবতই নাচাতে পণ্ডিত হলেও তাকে এড়ানো কঠিন হল। আমার এসবে অভ্যেস নেই, শিকার হবার ভয়টা এই প্রথম কাজ করছে শরীরে। আমি ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পরছি। পা থামতে চাচ্ছিল বারবার, কিন্তু নিরুপায়... থামলেই ভয়ংকর মৃত্যু। বিড়ালটি মাঝে মধ্যেই খুব কাছে এসে পরছিল, বহুকষ্টে এড়াতে পারছি তাকে।হটাৎ চোখে পরে মাটির খাজে একটি গর্ত। আর না ভেবে কোনরকমে গিয়ে ঢুকি তার ভিতর। বিড়াল থমকে যায়, বাইরেই ডাকতে থাকে, দানবের মত আঁচড়াতে থাকে নখ দিয়ে। ভয়ানক উন্মত্ততা বেড়ালটির, নখের দাপটে মাটি সরতে থাকে, গর্তের মুখ আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে। তার নিশ্বাসটাও অনুভব করতে পারছি আমি ভেতর থেকে। আমার ভেতর তোলপাড় ভয়, কি করা উচিত বুঝতে পরছি না। শুধুই মনে হচ্ছে আমার আয়ু শেষ। শেষ পর্যন্ত এই বিড়ালটার হাতেই মরতে হবে আমায়। আমি ভিতর থেকেই দেখছি, তার বিকৃত মুখটা ক্রমান্যয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠছে। সে ক্রমাগত খাবলিয়েই যাচ্ছে মাটি। মুখ ঢোকার মতই হয়ে পরছে গর্ত। আমার পালানোর কোন রাস্তা নেই, আমি আটকে পড়েছি। সন্ত্রস্ত আমি উপায়বিহীন হয়ে জোরকদমে ভেতরের মাটিই খুঁড়তে শুরু করলাম। 
কিচুক্ষন পরেই, মনে হল কে যেন আমায় ডাকছে, আমার নাম ধরে। আমার সেই 'মিস্টু' নাম... সে তো বাবলু ছাড়া আর তো কেউ জানেনা। আমার বুঝতে সময় লাগেনি... এ বাবলুই। আমি জোরে চিৎকার করতে পারি না, তবুও চেষ্টা করলাম। বিড়ালের মুখটা ইতিমধ্যেই অনেকখানি ঢুকে পড়েছে। আমি চোখ বন্ধ করে সমস্ত শক্তি দিয়ে চিৎকার করে উঠলাম। আর পরক্ষনেই আরেকটা চিৎকার শুনতে পেলাম। চোখ খুলে দেখি, গর্তের মুখ দিয়ে দিগন্ত দেখা যাচ্ছে। আমি তন্ময় হয়ে চেয়েই থাকি, বিশ্বাস হয়না আমি বেঁচে আছি। ভেতর থেকেই দেখি বাবলুকে। আমি এগিয়ে যাই, মুখ বের করে এদিক ওদিক দেখি। আমাকে নিঃশেষ করতে আশা সেই বিড়ালটি কোথাও নিজেই পালিয়েছে। বাবলু আমাকে কোলে তুলে নেয়। ও হয়ত আন্তরিক টানেই এতদুর ছুটে এসেছে আমার খোজে। ফিরে যেতে যেতে দেখলাম, আমার সেই দুই সাথিকে, চেয়ে আছে আমার দিকে। পেছনেই ভরা জঙ্গল, হয়ত তারা সেখানেই থাকে, আমিও হয়ত সেখানেই থাকতাম। আমি বাবলুর দিকে তাকাই, সে আমাকে হয়ত ভালবাসে, আমিও হয়ত তাকে ভালবাসি, কিন্তু তারই তো হাজার পড়ার মাঝে আমি শুনেছিলাম, কষ্ট করে বুঝেছিলাম 'বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোরে'। আবার হয়ত কোনদিন সুজোগ পেলে আমিও আমার সেই সাথিদের সাথে টিকে থাকার লড়াইয়ে ভাগিদার হব। আমিও বুক ফুলিয়ে বনের মাঝে হারিয়ে যাব নিজেদের সাথে।।

                     ---সমাপ্ত---

খরগোশের ডাইরি (Khargosher dairy) #2

(... আমার থেকে অনেকগুন বড় হবে, নীল চোখ, কুটিল বৃহত মুখ, মনে হল অনেক্ষন ধরেই আমাকে দেখছিল। কি ঘটবে বা কি ঘটতে চলেছে, আমি টের পাবার আগেই হটাত্‌ বুনোবেড়ালটা আক্রমণ করে। ঠিক তখনই সেই লাঠিটা উরে আসে, বেড়াল ছুটে পালায়, আর আমি পাই এক নতুন জীবন।)

Story 2, second part


দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ

আমার খাঁচার দরজা বন্ধ। সন্ধ্যার  আগেই আমার প্রতিবেশীরা খাওয়া দাওয়া সেরে ফিরে আসে। বাবলুদের ছাড়া আমরা সবাই সন্ধ্যের আগেই খাওয়া পর্বটা শেষ করি... আমাদের বংশগত অভ্যেস। আমার চোখের সামনেই মুরগী ছানাগুলো বড় হয়ে উঠল। সন্ধ্যার ঠিক আগেই ওরা ফিরে আসে বাড়িতে। উকি দিয়ে জানতে হয়ত চাইত  আমি ভাল আছি কিনা।
একটা বিষয় যা আমাকে রোমাঞ্চিত করেছিল তা হল ছোট্ট থেকে বাচ্চাদের হাটতে চলতে, খাওয়াদাওয়া খুঁজতে, খেতে কতকি শেখাল, তারপর যেই নাকি বড়  হল, একাএক মায়ের ভাব পাল্টে গেল।পাত্তাই দেয় না। সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকতে চাইলে, ঠুঁকরিয়ে ওদের ভাষায় কি সব বলে বের করে দেয়। এ কি রে বাবা, এমনও হয়। প্রথমে ভেবেছিলাম... নিষ্ঠুর মা, নিজের সন্তানদের ভালবাসতে জানে না পরে অনুমান করি... হয়ত সন্তানদের স্বাবলম্বি করার জন্যই মায়ের এতবড় ত্যাগ, এই অভিনব পন্থা। অতিরিক্ত ভালবাসা যে সন্তানদের অপদার্থ তৈরি করতে পারে, হয়ত ভেবেছিল.... তাই কঠোর সিদ্ধান্ত।


আকাশ স্বাধীন, তার বুকে ছড়িয়ে থাকা নীলবর্নও স্বাধীন।পাখি, প্রজাপতিও স্বাধীন।এমনকি আমার প্রতিবেশীরাও স্বাধীন।শুধু আমারই এমন দশা। স্বাধীনতার হাত ধরে আমিই চলতে ব্যার্থ। মাঝে মধ্যে এমন চিন্তাও কাজ করে যখন বসে থাকি চুপচাপ, চোখ মেলে চেয়ে থাকি ঘরের বাইরে। অস্থির মনে হয় তখন জীবনটা। মন উতলা হয়ে ওঠে পালানোর জন্য।ঘরটা আমার হলেও, দরজা খোলার সাধ্য নেই আমার, সেটা বাবলুরই। সে আমাকে ভালবাসে, কিন্তু আমার মনটাকে কিছুতেই বুঝতে পারেনা। সে আমাকে বন্দি রেখেই খুশি। আমিও চুপ, কিছুটি বলি না। বন্দি থেকে নিজের নিজস্বতাই হারিয়ে ফেলেছি। তাই নিস্তেজ হয়েই বসে থাকি বাবলুর অপেক্ষায়। সে তো জানেনা, একটা ঘরে সারাদিন আটকে থাকা কতটা অস্বস্থিকর। বন্দিদের পীড়া বুঝবার ক্ষমতা তার তো নেই। বুঝলে হয়ত ছেড়ে দিয়ে আসত কোন জংগলে, যেটা হত আমার সঠিক বাসস্থান।চারিদিকে সবুজ, সবুজ আর সবুজ।অনেক বন্ধু পেতাম, হাসি কান্না একসাথেই হত, টিকে থাকার লড়াইয়ে সমান ভাগিদার হতাম। সে ভাগ্য কি হবে আমার!

দিন চলতে থাকে তার নিজের গতিতে। হঠাৎ একদিন চোখ যায় ঘরের এক কোনে। নেটের চেহারা পাল্টেছে। আমার চোখ রংগিন হয়ে ওঠে।  

                                      শেষ এখনও বাকি...