Sunday, May 26, 2019

MahaMilan - Bangla Kobita


মহামিলন

Bangla Kobita

Bangla Kobita
Bangla Kobita

আমার নব প্রয়ান ঘটেছে,
কোন নবক্ষনে, নব অনুশাসনে,
এই অপরিণত সমাজের পাশে...
আর আমি নেই। সেই মণিকোঠায়,
আঙ্গিনার ফলক পার করেছি আমি।
বর্জন করেছি, সেই মনুষ্যত্বের ছোঁয়ালাগা পোশাক,
আজ আমি স্বাধীন, বর্বর কোন জাতির অধীনে,
নাই আজ আর।
নেই কোন শিশুর অত্যাচার,
কোন নারীর মানহানি, আর,
পীড়িতদের ধর্ষণরত কারাগার।
নেই, ধর্মের নামের দোহাই,
জাতের বুকে চাকু রেখে,
কোন উৎশৃংখলের সব ক্লেশ, সব দ্বেষ,
সেই খোলসটির সাথে, ছেড়ে এসেছি।

আজ  বাসিন্দা আমি, এই মহাভুবনের,
মহাকাশের, এই মহাসৃষ্টির,
আনন্দ আজ প্রসারিত হয়ে চলেছে,
আমার অদৃষ্ট শীড়ার মাঝ দিয়ে।

আমার নবজন্ম ঘটেছে, শব্দহীনবোধে,
পদ্মপাতার উপর, শীতল কুয়াশা কনিকা হয়ে।
ঝড়ে পরে আকার বাড়ে,
এক পুষ্করিণী বা নদীবাহিকার তরে।
আকারে আরও বর্ধিত হই,
সমুদ্রহৃদয়ের মিলনে।
আমার তনু-মন বিকশিত হয়,
সুখের সাগরে নবজাতির গরিমামণ্ডিত হই আমি।
নবদূত হয়ে চলেছি আজ বহুদুর,
বাস্পরুপে আলোর দেশে।

আমার আর জন্ম হয়নি,
অনের সহস্র ক্ষনপ্রাপ্তির সাথে,
আর কখনও সৃষ্টি হই নি আমি।
স্রষ্টার শ্রেষ্টত্বের,
আজ আর আমি কোন অংশ নই,
আমি পরাধীন নই, আজ আমি,
দ্বায়িত্বহীন, ক্লেশহীন, অস্তিত্বহীন,
এক নিষ্প্রাণ – প্রাণ,
আমি স্রষ্টার হৃদয়ে মিলিয়ে গেছি।।

Saturday, May 25, 2019

Prattay - Poem

প্রত্যয়

Poem


Prattay poem
Prattay poem

অনুসন্ধিৎসু হয় মনটি বার বার,
অজানিতে খুজে চলে আগন্তুকের ঠিকানা,
কার যে সেটা, সেটাও ঠিক অজানা,
বর্ধিত কম্পিত হৃদয়টি যেন,
খুজে চলে কোন আশ্রয়, কিন্তু...
চায়না দিতে কাউকেই, আপন হবার প্রশ্রয়।

ঠকেছে বার বার, অন্তর হয়েছে চূর্ণ,
মন হয়েছে পাথর, হয়েছে অস্থির,
হয়েছে কত টুকরোতে ছারখার, হাজারবার।

মানুষ, কত মানুষ, ভীরে ঠাসা রাস্তা,
তার মধ্যেই ভাল-মন্দের ঠাই,
চেনা-অচেনা মুখ, আর মুখে ডাকা ভাই।

মান যার নেই, সেও এক মানুষ,
ভীর দিয়ে, ভীর ঠেলে, হেঁটে চলে সোজা,
আকস্মাত দেখা মেলে তার,
কখনও হয় উধাউ।
থাকে কত আশা, কত অভিপ্রায়,
মনে হয়, ভুল নয়, সেই বুঝবে আমার,
আন্তরিক অন্তহীন ভালবাসা।

কত কথা আলাপে, কত গেল প্রলাপে,
কত আনন্দ, কত কথা,
অপরিসীম মনের বাসিন্দা,
মতের মিল, জীবনের মিল, তাকে
এড়ানো চলে না,
তার মতন বন্ধু যেন ত্রিভুবনে মেলেনা।

বেশ তো যাচ্ছিল সুদিন,
আশা ভালোবাসার ছায়ায়,
বন্ধুত্ব সুধু বোঝে মন,
আত্মিক সম্পর্কের ভাষায়।

চোখ বলল দেখ, মন বলল গুজব,
কান বলল শোন, অকৃত্রিম হাস্যরব।
মস্তিষ্ক বলল এবার, ইন্দ্রিয় গুলি খোল,
আত্মিক নেশা ছাড় দেখি,
ছাড় মনের ব্যাথা,
শান্তি নেই অন্য ঘরে, ঠিকানা খোজাই বৃথা।।

Wednesday, May 22, 2019

Haal Chhero na - Bangla Poem

হাল ছেড়ো না
Haal chhero na bangla poem
Haal chhero na bangla poem

ঘন ঘন ফুল, ঐ সে উপকুল,
এগিয়ে চলে নাবিক পারের আশায়।
নিভৃত অন্ধকার ভয়, চারিদিক জলময়,
সিক্ত বদনে যেন, কম্পন অনুভূত হয়।
সর্বত্রই আঁধার, অথই সকল নিরাকার,
উত্তাল বাতাসে সলীল প্রলাপ যেন,
শোনা যায় ক্ষণেক... ছুয়ে যায় সারা দেহ,
সারা অঙ্গ, অশরীরী ভাষায়।

মাঝি ছুটে চলে, নৌকা বাইয়ে তার,
কূল-কিনারার খোঁজে।

দিন যায় রাত যায়... অথৈ জলের শেষ নাই,
কোথায় মাঝি ফেঁসে রয়, চিন্তা হয়...
সলীল সমাধি না-ঘটে তার!
হে ঈশ্বর! রক্ষা কর সন্তানে তোমার!
ওই দিকে, ঐ যে ঘূর্ণিচক্র জেগেছে আবার...
নাও যে তার, হল বেসামাল,
এদিক ওদিক দুলছে শুধু, ধরে রাখাই দূর্বার।
নির্বিকার, বৈঠা শুধু সামলে চলে,
তার কথা আর কেবা শোনে! শুধু মনই বলে...
হাল ছেড়না এগিয়ে যাবার।

সজোরে নৌকা কেঁপে ওঠে, হাঁফ ছেড়ে মাঝি উঠল বলে,
চরায় এসে পরল বুঝি, আর নয়...
পৌছে গেল কিনার পারে।

Sunday, May 19, 2019

Ashok aschhe: Poem

আশোক আসছে

Ashok aschhe Poem
Ashok aschhe: Poem

অশান্ত মন, ক্ষিপ্র প্রবল... চলে সে বায়ুবেগে,
রণহূংকারে ধাবিত প্লাবন, কেইবা এসে রূধিবে !


তৃষ্ণার আরালে উড়ায়ে নিল সব...
সামনা হয় যার, নিষ্কৃতি নয় তার,
ঘোড়ার আরোহী, হাতে তলোয়ার
অবাধ্য যোদ্ধা, ছুটে চলে বাঁধভেঙে প্রান্তরে,
নাই বাঁধা, নাই হার... ক্ষমা নাই, নাশ সবার।
রক্ত, শুধুই রক্ত... মৃত্তিকার রং যেন বোঝাই শক্ত,
সীমাহীন মৃত্যু... চিৎকার, আর্তনাদ, ভয়াবহ অবসান।
তবুও থমকে রয়না মৃত্যু, ঢলে পরে আরও,
আরও ঝরে শুধুই রক্ত, বেশামাল যুদ্ধ অনবরত,
যেন, যেন উন্মুক্ত তলোয়ারটি,
বহুকাল পিপাসার্ত.. যে নেয় কেরে প্রান,
শান্ত পৃথিবীকে জাগিয়ে জানায়,
হবে তুমি নিষ্প্রাণ শ্বশান।

ধিরে ঢলে পরে... একপক্ষের কলরব,
বিদ্ধস্ত তলোয়ারবাজ, বিস্মিত চোখে চায়.. শেষ কি হল সব !


সূর্য গেছে পশ্চিমাদেশ, সাক্ষ্য কেবলমাত্র
এই সংহার, এই নাশকতা,
এই বর্বরাচিত অত্যাচারে অতিষ্ট উন্মত্ত।
দিন ঢলে, নিশি এল চলে,
চারিদিকে হাহাকার, হাতরে হায়রে শুধু শোকের ছাপ,
বিধাতার বিলাপ আর,
অনাথদের অকথ্য অভিশাপ।
চারিদিকে আগুন, রাঙ্গাআগুনের উত্তাপ,
চিতার আগুনে ভস্মীভূত,
অন্তিম মুহূর্তের অন্তহীন পরিতাপ।
যুদ্ধাপরাধের বিস্তৃত শোক,
ছড়িয়ে ছিটিয়ে অমানবতা,
রক্ত প্লাবনে রিক্ত নিরিহ লোক।
হাহাকার, অশান্তি আর পৈশাচিক অগ্নুৎপাত,
মৃতদের গ্লানি, দুঃখ আর বিলাপ,
ক্লান্তিময় হয়ে উঠেছে সব..
আকাশ-মর্ত-পাতাল, উড়ে আসে
নিশাচরদের  ভির আর বিনিদ্র সাথীহারার ক্রন্দন।

আর নয়, আরও এগিয়ে যাবার হল ভয়,
সব মিলিয়ে আকণ্ঠ হয়েছে ক্লান্তি, অশান্তি..
বাহুবলে অশান্ত হয়েছে সুকঠোর এ ধরনী।


এত নরসংহার, এত অবিচার.. মহান হতে !
পারল কি ! কেহই তো থাকল না আর,
হল কই প্রতিক মহানতার,
শান্তির ভিত নাড়িয়ে, নিশ্চিত হল কোথায়,
এতকিছুর জয়ী হয়েও, নিজেকে হারালো সেথায়,
স্বপ্ন ভঙ্গের বাস্তবায়নে, যেন সব হেরে.. হল নিঃশেষ।


আত্মগ্লানিতে শুদ্ধি বিচার, ত্যাগ হল বাহ্যিক রূপ,
শান্ত-স্নিগ্ধ কায়-মন-বাক্য, 
চিরাচরিত বৌদ্ধ মন্ত্রে দীক্ষিত হোক,
এহেন, ছাড়লেন তিনি সব,
ভীক্ষু বেশে চারিও দিশে.. বিলোলেন জপ্ তপ্।
তিনি আজ শ্রেষ্ঠ, অচিরেই মহান,
শ্রদ্ধেয় সবার আপন, নয় সম্রাট,
দিল জাতির বিধান।
তিনিই অশোক, রয়েছেন বৌদ্ধ,
এই নবায়নের যুগেও।।

Thursday, May 9, 2019

Poem on life - দ্বারের প্রহরী



দ্বারের প্রহরী
Poem on Life
Poem on Life

দোর খোল দোর খুলে দাও,
বাইরে কে জানি রয়ে,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টির মাদল হাওয়ায়,
নয় বা যাবে সে বয়ে।
দেখ দেখ চোখ মেলে দেখ,
চেনা হয়ত বা কেউ,
অচেনার মাঝে সুরঞ্জিত সুর,
বাইরে অবাধ্য ঢেউ।

অতিরঞ্জিত, রজত হয়োনা এখুনি,
ধার্য্য ধৈর্য্য ধর,
দ্বারের ওপারে অপেক্ষারত,
সময় সুযোগ বড়।
প্রলাপ ছেড়ে সবুর কর,
ভাগ্য কি জানি রয়ে,
অবুঝ সুখের হাতছানি সে,
যেন ফুরায় তবে সে ভয়ে।

দোর খোল দোর খোলো,
ভাগ্য শপথরত,
একের ভুলেই মতিভ্রম,
রয়েছে হাজার শত শত।
দ্বারের প্রহরী আমরা নিজেই,
সাবধানে তাই খোল,
ইতিহাস হয়েই না রই যাতে
ভবিষ্যত স্বহাতে গড়।

দোর খোল দোর খুলে দাও,
স্বপ্ন আছে যে রয়ে,
কত প্রেরণার আশার যোগান,
নয়বা যাবে সে ধুয়ে।


আশাকরি ভাল লাগল, এই স্বপ্ন অন্যেরাও যাতে উপভোগ করতে পারে তার জন্য মনআনন্দে Share করুন এই কবিতা, যার নাম "Poem on life - দ্বারের প্রহরী"। আমার কথার প্রলেপে কেউ সুখী হলে, সে সুখ আমারও। ভালো থাকুন এবং অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে।

Wednesday, May 1, 2019

চোরাবালি - Poems about life


চোরাবালি


Poems about life
Poems about life

বড় কঠিন তোমার প্রনয়, 
মরু সিংহাসনে আরোহণের অবকাশ খুঁজি,
বালুকা শৃঙ্গে অমসৃণ পদচ্যুত হই বারংবার,
তথাপি হাতছানি দেয়, পিছুটানের লোভে ভয়,
এহেন প্রনয়ে বেঁধেছ আমারে, তব 
আঁচলের ভাঁজে সদা চিন্তা মগ্ন রয়।

কতকাল রয়েছি নিশ্চল,
সোনালী সোপান আমার দিকে,
আসবে এগিয়ে, আসবে আমার মায়ায়,
তোমার স্পর্শ আমায় করবে উজার !
আমি হব রসিক নটবর, হব আমি 
রাজার রাজা ! পাব অমিয় ফল,
অতিকায় ঐশ্বরিক রূপ পাব,
পাব আমি বিস্মিত আকষ্মিক ফসল।

এ হেন আশায় মগ্ন, তথাপি
প্রতারনা আমারি সাথে ! আমি বিহ্বল,
এতকাল অপেক্ষারত, আজ কেন এত নিরুপায় !
হে সময়, এ তোমার কেমনতর প্রনয়,
অলস-আহাম্মকের স্থান নাই বুঝি,
দরবারে তোমার ! আমি যে সময়ে বসিয়া
অসময়ের প্রার্থী হয়েছি, বুঝিনি সহজ সুবাশ,
ভুলের চোরাবালিতে ডুবন্ত সন্ধিক্ষণ,
জীবনমুল্যের দাও হে অবকাশ,
দু'হাত জুড়ে করি আমি ভুলের অংগীকার।।