খরগোশের ডাইরি (Khargosher dairy) #2
(... আমার থেকে অনেকগুন বড় হবে, নীল চোখ, কুটিল বৃহত মুখ, মনে হল অনেক্ষন ধরেই আমাকে দেখছিল। কি ঘটবে বা কি ঘটতে চলেছে, আমি টের পাবার আগেই হটাত্ বুনোবেড়ালটা আক্রমণ করে। ঠিক তখনই সেই লাঠিটা উরে আসে, বেড়াল ছুটে পালায়, আর আমি পাই এক নতুন জীবন।)
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ
আমার খাঁচার দরজা বন্ধ। সন্ধ্যার আগেই আমার প্রতিবেশীরা খাওয়া দাওয়া সেরে ফিরে আসে। বাবলুদের ছাড়া আমরা সবাই সন্ধ্যের আগেই খাওয়া পর্বটা শেষ করি... আমাদের বংশগত অভ্যেস। আমার চোখের সামনেই মুরগী ছানাগুলো বড় হয়ে উঠল। সন্ধ্যার ঠিক আগেই ওরা ফিরে আসে বাড়িতে। উকি দিয়ে জানতে হয়ত চাইত আমি ভাল আছি কিনা।
একটা বিষয় যা আমাকে রোমাঞ্চিত করেছিল তা হল ছোট্ট থেকে বাচ্চাদের হাটতে চলতে, খাওয়াদাওয়া খুঁজতে, খেতে কতকি শেখাল, তারপর যেই নাকি বড় হল, একাএক মায়ের ভাব পাল্টে গেল।পাত্তাই দেয় না। সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকতে চাইলে, ঠুঁকরিয়ে ওদের ভাষায় কি সব বলে বের করে দেয়। এ কি রে বাবা, এমনও হয়। প্রথমে ভেবেছিলাম... নিষ্ঠুর মা, নিজের সন্তানদের ভালবাসতে জানে না। পরে অনুমান করি... হয়ত সন্তানদের স্বাবলম্বি করার জন্যই মায়ের এতবড় ত্যাগ, এই অভিনব পন্থা। অতিরিক্ত ভালবাসা যে সন্তানদের অপদার্থ তৈরি করতে পারে, হয়ত ভেবেছিল.... তাই কঠোর সিদ্ধান্ত।
দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ
আমার খাঁচার দরজা বন্ধ। সন্ধ্যার আগেই আমার প্রতিবেশীরা খাওয়া দাওয়া সেরে ফিরে আসে। বাবলুদের ছাড়া আমরা সবাই সন্ধ্যের আগেই খাওয়া পর্বটা শেষ করি... আমাদের বংশগত অভ্যেস। আমার চোখের সামনেই মুরগী ছানাগুলো বড় হয়ে উঠল। সন্ধ্যার ঠিক আগেই ওরা ফিরে আসে বাড়িতে। উকি দিয়ে জানতে হয়ত চাইত আমি ভাল আছি কিনা।
একটা বিষয় যা আমাকে রোমাঞ্চিত করেছিল তা হল ছোট্ট থেকে বাচ্চাদের হাটতে চলতে, খাওয়াদাওয়া খুঁজতে, খেতে কতকি শেখাল, তারপর যেই নাকি বড় হল, একাএক মায়ের ভাব পাল্টে গেল।পাত্তাই দেয় না। সন্ধ্যায় ঘরে ঢুকতে চাইলে, ঠুঁকরিয়ে ওদের ভাষায় কি সব বলে বের করে দেয়। এ কি রে বাবা, এমনও হয়। প্রথমে ভেবেছিলাম... নিষ্ঠুর মা, নিজের সন্তানদের ভালবাসতে জানে না। পরে অনুমান করি... হয়ত সন্তানদের স্বাবলম্বি করার জন্যই মায়ের এতবড় ত্যাগ, এই অভিনব পন্থা। অতিরিক্ত ভালবাসা যে সন্তানদের অপদার্থ তৈরি করতে পারে, হয়ত ভেবেছিল.... তাই কঠোর সিদ্ধান্ত।
আকাশ স্বাধীন, তার বুকে ছড়িয়ে থাকা নীলবর্নও স্বাধীন।পাখি, প্রজাপতিও স্বাধীন।এমনকি আমার প্রতিবেশীরাও স্বাধীন।শুধু আমারই এমন দশা। স্বাধীনতার
হাত ধরে আমিই চলতে ব্যার্থ। মাঝে মধ্যে এমন চিন্তাও কাজ করে যখন বসে থাকি চুপচাপ, চোখ
মেলে চেয়ে থাকি ঘরের বাইরে। অস্থির মনে হয় তখন জীবনটা। মন উতলা হয়ে ওঠে পালানোর
জন্য।ঘরটা আমার হলেও, দরজা খোলার সাধ্য নেই
আমার, সেটা বাবলুরই। সে আমাকে
ভালবাসে, কিন্তু আমার মনটাকে কিছুতেই বুঝতে পারেনা। সে আমাকে বন্দি রেখেই খুশি। আমিও চুপ, কিছুটি
বলি না। বন্দি থেকে নিজের নিজস্বতাই হারিয়ে ফেলেছি। তাই নিস্তেজ হয়েই বসে থাকি
বাবলুর অপেক্ষায়। সে তো জানেনা, একটা ঘরে সারাদিন আটকে থাকা কতটা অস্বস্থিকর। বন্দিদের
পীড়া বুঝবার ক্ষমতা তার তো নেই। বুঝলে হয়ত ছেড়ে দিয়ে আসত কোন জংগলে, যেটা হত আমার
সঠিক বাসস্থান।চারিদিকে সবুজ, সবুজ আর সবুজ।অনেক বন্ধু পেতাম, হাসি কান্না একসাথেই হত, টিকে থাকার লড়াইয়ে
সমান ভাগিদার হতাম। সে ভাগ্য কি হবে আমার!
দিন চলতে থাকে তার নিজের গতিতে। হঠাৎ একদিন চোখ যায় ঘরের এক কোনে। নেটের
চেহারা পাল্টেছে। আমার চোখ রংগিন হয়ে ওঠে।
শেষ এখনও বাকি...
Post a Comment